অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হলো
বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন বিনতা নন্দা। তিনি ছোট পর্দার স্ক্রিপ্ট রাইটার এবং পরিচালক ও প্রযোজক।
বড় পর্দায়ও কাজ করেছেন। অলোক নাথের স্ত্রী ছিলেন তাঁর ভালো বন্ধু। একসঙ্গে থিয়েটার করতেন। এ কারণে অলোক নাথের বাসায় তাঁর যাওয়া-আসা ছিল।
ফেসবুক পোস্ট
গত ৮ অক্টোবর ফেসবুকে তিনি একটি পোস্ট দিয়েছেন।
সেখানে তিনি বলেছেন, অলোক নাথের বাসায় এক পার্টিতে গিয়ে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। ঘটনাটি গত শতকে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি।
ধর্ষণের অভিযোগ
গত ১৭ অক্টোবর মুম্বাই পুলিশের কাছে অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন বিনতা নন্দা।
ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বিনতা নন্দা লিখেছেন, ‘অলোক নাথ মদ্যপ, অসভ্য আর বিরক্তিকর মানুষ।
যেহেতু তিনি টেলিভিশনের জনপ্রিয় তারকা, তাই খারাপ কাজ, অপকর্ম, খারাপ ব্যবহার করেও তিনি সহজেই পার পেয়ে যান।’
এত দিন পরে বিনতা নন্দা কেন এসব কথা বলছেন? আইএএনএসকে তিনি বলেন, ‘১৯ বছর ধরে এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করেছি।’
অভিযোগপত্রে বিনতা নন্দা আরও লিখেছেন, ‘অলোক নাথের বাসার এক পার্টিতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তখন তাঁর স্ত্রী ছিলেন শহরের বাইরে।
সেদিন পার্টিতে আমার গ্লাসে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি যখন তাঁর বাসা থেকে বের হয়েছি, তখন রাত দুইটা।
আমার সঙ্গে গাড়ি ছিল না। সেদিন কেউ আমাকে বাসায় নামিয়ে দেওয়ার জন্য বলেনি।
রাস্তায় আমি একাই ছিলাম। হঠাৎ অলোক নাথ গাড়ি নিয়ে আসেন। তিনি আমাকে বাসায় নামিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমিও তাঁকে বিশ্বাস করেছি।
কিন্তু গাড়িতে ওঠার পর আমাকে জোর করে আরও মদ খাওয়ানো হয়। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। পরদিন ঘুম থেকে ওঠার পর আমার শরীরের নিচের অংশে খুব ব্যথা অনুভব করি।
বুঝতে পারি, শুধু ধর্ষণ নয়, বর্বরতার শিকার হয়েছি আমি। ওই সময় বিছানা থেকে উঠতে পারছিলাম না।’
বিনতা নন্দার অভিযোগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অলোক নাথ আর তাঁর অপকর্মের বিরুদ্ধে নিন্দা ও ধিক্কারের ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
অনেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। কেউ কেউ তাঁকে ‘সংস্কারি বাবুজি’ বলে ব্যঙ্গ করেছেন। কারণ, পর্দায় তাঁকে সেভাবেই উপস্থাপন করা হয়।
তথ্যসূত্র
ফেসবুক, প্রথম আলো : ২১ নভেম্বর ২০১৮