আন্তর্জাতিক মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি
আন্তর্জাতিক মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মুঠোফোনকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ (DIMFF) পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে।
উৎসবটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) রামচন্দ্রপুরের স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলবে আগামী ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ক্যাটাগরি
উৎসবমুখর এই আয়োজনটি উন্মুক্ত থাকছে সবার জন্য। প্রতিযোগিতার এই আসরে ৩৪টি দেশ থেকে—
প্রতিযোগিতা (Competition),
এক মিনিটের চলচ্চিত্র (One minute film), ও
প্রদর্শনী (Screening)—এই তিনটি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৯৬টি চলচ্চিত্র জমা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বিচারক
ডিআইএমএফএফ’র ৫ম আসরে বিচারকাজ সম্পন্ন করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রসূন রহমান, সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ জামান এবং চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখক বিধান রিবেরু।
জমাকৃত ও চূড়ান্তকৃত চলচ্চিত্র
বিচারকমণ্ডলীর নির্বাচনে ‘প্রতিযোগিতা’ বিভাগে জমাকৃত ২৮টি চলচ্চিত্র থেকে ১০টি, ‘এক মিনিটের চলচ্চিত্র’ বিভাগের ৩টি চলচ্চিত্র থেকে ২টি এবং ‘প্রদর্শনী’ বিভাগে জমাকৃত ৬৫টি চলচ্চিত্র থেকে ২৬টি,
সর্বমোট ৩৮টি চলচ্চিত্র চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল পুরস্কার
নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ‘প্রতিযোগিতা’ বিভাগের সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য থাকছে—
‘সিনেমাস্কোপ বেস্ট ফিল্ম’ অ্যাওয়ার্ড এবং ‘এক মিনিটের চলচ্চিত্র’ বিভাগের সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য থাকছে ‘ইউল্যাব ইয়ং ফিল্ম মেকার’ অ্যাওয়ার্ড।
সেই সঙ্গে নির্বাচিত সকল নির্মাতাদের জন্য থাকছে সনদপত্র এবং উপহার।
আন্তর্জাতিক মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল তিন বিচারক পরিচিতি
প্রসূন রহমান
‘সুতপার ঠিকানা’ চলচ্চিত্র দিয়ে শুরু প্রসূন রহমান তার চলচ্চিত্র নির্মাণ। তিনি জনপ্রিয় লেখকও। সুতপার ঠিকানা তার নির্মিত প্রথম ফিচার ফিল্ম হলেও, প্রথম ফিল্ম নয়।
এর আগে তিনি একাধিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মান করেছেন। ছোটপর্দার জন্য নাটক লিখে এবং পরিচালনার মাধ্যমে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন।
অকাল প্রয়াত গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের সহকারী হিসেবে প্রসূন রহমান দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।
রাশেদ জামান
প্রতিযোগিতার আরেক বিচারক রাশেদ জামান সিনেমাটোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে বেছে নিলেও, তিনি তার শিক্ষাজীবন শুরু করেছিলেন স্থাপত্যশিল্পের আচ্ছাদনে। তুরস্কের মিডল ইস্ট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে স্থাপত্যবিদ্যায় লেখাপড়া করেছেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যানজেলেস (ইউসিএলএ) থেকে সিনেমাটোগ্রাফিতে ডিপ্লোমা করে দেশে ফিরে আসেন।
তিনি একজন আসাধারন ফটোগ্রাফার, তার তোলা একটি ছবি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন এর প্রচ্ছদ হিসেবে ছাপা হয়েছিল।
চলচ্চিত্র চিত্রগ্রাহক : আয়নাবাজি (২০১৬), জাগো (২০১০), ডুবসাঁতার (২০১০)।
বিধান রিবেরু
আর, লেখক ও সমালোচক বিধান রিবেরু। ফিচার এডিটর, এনটিভি অনলাইন। ২০০৫ সাল থেকে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। কাজ করেছেন আরটিভি, বৈশাখী টেলিভিশন ও এটিএন নিউজে।
স্নাতক করেছেন কম্পিউটার বিজ্ঞানে। আর স্নাতকোত্তর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে, নরওয়ে সরকারের বৃত্তি নিয়ে। মাঝে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্র নিয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন।
তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রবিষয়ক বই : চলচ্চিত্র পাঠ সহায়িকা (২০১১), চলচ্চিত্র বিচার (২০১৩), বাংলাদেশের চলচ্চিত্র (২০১৭), ‘শাহবাগ: রাজনীতি ধর্ম চেতনা’, ‘বিবিধ অভাব : লিওনার্দো লালন লাকাঁ’, ‘বলিউড বাহাস’, চলচ্চিত্র বোধিনী (২০১৯) প্রভৃতি।